শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১৪

ধুমকেতুর উপর মানুষের তৈরি যান!

অবশেষে ধুমকেতুর পৃষ্ঠতে অবতরন করল মানুষ নিরমিত মহাকাশ যান ফিলি......
মানব সভ্যতার এক অনন্য প্রাপ্তি এটা......এর আগেও অনেক মহাকাশ যান পৃথিবীর বাহিরে পাঠানো হয়েছে....যেমন চাঁদে, মনগল গ্রহে, অন্যান্য কিছু গ্রহের উপগ্রহে.... কিন্তু কোন ধুমকেতু তে! এই প্রথম।
এটা মানুষের একটি বড় প্রাপ্তি....
.
কাজ টি সম্পন্ন করেছে ইউরোপীয় মহাকাশ গবেষনা সংস্থা।ব্যাপার টা অনেক জটিল.... একে তো ধুমকেতুর বেগের সাথে তাল মিলিয়ে যান টিকে চলতে হয় আবার অপর দিকে অই ধুমকেতুর মহাকর্ষ বল ও অনেক দুর্বল।  তবে বিজ্ঞানী দের নিখুঁত গবেষনা ও হিসাবে শেষে সঠিক বেগ ও ভারসাম্য বজায় রেখে তা অই ধুমকেতু তে অবতরন করে.... আপাতত সেই ধুমকেতু তে কেবল বরফ ও ধুলা পাওয়া গেছে.... সামনে আরো অনুসন্ধান চলবে....
ফিলির তোলা প্রথম ছবি এটি.....
এই গবেষনা মানুষের জ্ঞানের পরিসর আরো বাড়াবে.......
পুরো ঘটনা দেখলে Hollywood এর Armageddon মুভির কথা মনে পড়ে..... যদিও মুভির মত এটা পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে না! 


বুধবার, ১২ নভেম্বর, ২০১৪

সময় কারো জন্য থেমে থাকেনা? you are wrong!

একটা প্রবাদ আছে..... time and tide wait for none(সময় কারো জন্য থেমে থাকে না)।  তবে কারোর মধ্যে অন্য সবাই থাকলেও শুধু একটি জিনিস থাকে না..... আর তা হল photon কনা....
.
Theory of realitivity অনুযায়ী কোন বস্তু আলোর গতিতে গেলে তার জন্য সময় অস্যম হয়ে যাবে.......

নিউটনের কণা তত্ত্ব আর প্লানকের কোয়ান্টাম তত্ত্ব অনুযায়ী আলো ফোটন দিয়ে তৈরি..... সে ক্ষেত্রে ফোটন আলোর বেগেই চলে যার কারণে আলোর জন্য সময় থেমে থাকে!

তবে এর বাস্তব প্রয়োগ অজ্ঞাত.....  সবই থিওরি!

কোন কিছুই ধ্রুব নয়..... সবই আপেক্ষিক - Einstein

পানির প্রতি এলারজি! (Aquagenic pruriti)

পানির নাম জীবন....  কিন্তু এই পানি যখন এলারজির কারণ!!
হ্যা এটা অত্যন্ত বিরল এক ধরণের এলারজি( Aquagenic prurti)। এ ক্ষেত্রে যখন অই ব্যাক্তি পানির সংস্পর্শএ আসে তখম শরীর জ্বলা,চুল্কানি সহ নানা রকম সমস্যা হয়। সব চেয়ে মারাত্মক এলারজির একটি এটি!

শুনলেই গা ঘিঁন ঘিঁন করে!

অধিবর্ষে(leap year) ১ দিন বেশি থাকে কেন?

অধি বরষ.....নামটা শুনলেই মনে পড়ে ২৯ ফেব্রুয়ারি তারিখের কথা.... প্রত্যেক চার বছর পর পর এই দিনটি আসে... তবে প্রত্যেক চার বছর পর পর ই কেন? আর কেনই বা আসে?
ব্যাপার টা অনেক সোজা..... আমরা ২৪ ঘন্টাকে এক দিন ধরি...... প্রকৃত পক্ষে এক দিন হয় ২৩ ঘন্টা ৫৬ মিনিটের... অর্থাৎ প্রত্যেক দিন ৪ মিনিট কম ধরা হয়..... আর সেই কারণে ৪ বছর অন্তর অন্তর সেই ৪ মিনিটকে যোগ করা হয় এবং এই দিন ধরা হয়...... বস্তুত তাতেও .১৩ দিনের ত্রুটি থাকলেও তাতে কোন প্রভাব পড়ে না...... এই কারণে অধিবর্ষ তে একদিন বেশি থাকে....

২৯ ফেব্রুয়ারি  ৪ বছরে একবার আসে......  তাই কারো জন্মদিন অইদিন হলে এটা ভাবার কোন অবকাশ নেই যে.... চার বছরে তার বয়স এক করে বাড়ে!

রবিবার, ৯ নভেম্বর, ২০১৪

টায়ার vs ট্র‍্যাকস

আমরা অনেক রকমের যানবাহনে চাকার পরিবরতে স্ট্রেপ দিয়ে চলা গাড়ি দেখি..... যেমন ক্রেন ট্যানক.... কিন্তু অনেকেই এই সহজ জিনিস টা বুঝে না যে.... এইসব যান কিভাবে বাঁক কাটে।
বস্তুত এইসব যানের চাকা ঘুরানোর কোন উপায় নাই..... তাহলে এরা বাঁক কাটে কিভাবে?
ব্যাপার টা অনেক সোজা তবে অনেকেই বুঝে না। আমরা হুইল চেয়ারের সাথে এর মেকানিজম এর মিল খুজে পাই.... খেয়াল করলে দেখবেন হুইল চেয়ারের এক চাকা ঘুরালে আরেক চাকা না ঘুরালে সেটা বাঁক কাটে.... সেই স্ট্রেপ গুলাও একি মেকানিজম এ চলে.....এক দিকের স্ট্রেপের গতি বাড়িয়ে দিলেই মোড় কাটতে পারে....
সবচেয়ে মজার বিষয় হল সাধারণ চাকা যেখানে মোড় কাটার সময় গতি কমিয়ে দেয়.... এইখানে এইসব ট্রেকের গতি বাড়ানো লাগে